নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার”সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে কঠোর বিজিবি

জাহাঙ্গীর আলম কাজল,,নাইক্ষ্যংছড়ি: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ চোরাচালান বন্ধ করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি।তাদের অধীনস্থ বিভিন্ন বিওপির সদস্যরা অবৈধ চোরাচালানের সীমান্ত পয়েন্ট এলাকার ৪৬ থেকে ৫০ পিলার পযর্ন্ত। উক্ত এলাকার যে যায়গা দিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে ব্যাপকভাবে চোরাচালান চলে আসছে তা একেবারে বন্ধ করার জন্য,নাইক্ষ্যংছড়ি১১বিজিবি”দায়িত্বপূর্ণ এলাকার,জামছড়ি বিওপি,জারুলাছড়ি বিওপি,ফুলতলী বিওপি,ভাল্লুকখাইয়া,বিওপি ও লেমুছড়ি বিওপির জোয়ানেরা নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের অভ্যন্তরে কাঠের সঙ্গে পেরাক মেরে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে উক্ত রাস্তাগুলো বন্ধ করে দিচ্ছেন বলে জানান,সীমান্ত ঘেঁষা বসবাসকারী,মোঃ ফয়েজ,নুর আলম,নুরুজ্জামান সহ অনেকেই।তারা আরো জানান,সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সদস্যরা দিনরাত কঠোরভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, গরু,মহিষ,সুপারি সহ বিভিন্ন ধরনের মাদক এবং বাংলাদেশ থেকে যাওয়া হরেক প্রকার মালামাল যাতে আসতে ও যেতে না পারে। উল্লেখ্য,মিয়ানমারের সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া সব ধরনের পণ্যের উপর বতর্মানে আরকান রাজ্যের লক্ষাধিক মানুষ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।মিয়ানমারের ভিতরে তাদের অভ্যন্তরীণ আধিপত্য বিস্তারের কারণে জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রিত বাহিনী এবং বিদ্রোহী সশস্ত্র গ্রুপ আরকান আর্মির মাঝে চলছে যুদ্ধ,সে কারণে আরকান রাজ্যের অনেক এলাকায় মিয়ানমারের সরকার নিয়ন্ত্রিত বাহিনীর সদস্যরা খাদ্য সামগ্রী ঢুকতে দিচ্ছে না।বতর্মানে নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার”সীমান্ত এলাকার মিয়ানমার অংশের সীমান্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছেন আরকান আর্মির সদস্যরা।