ঈদের আগে ডিসির দেয়া নতুন ঘর পেয়ে উচ্ছ¡সিত সাফ ফুটবল জয়ী ইয়ারজান

পঞ্চগড় প্রতিনিধি-সাফ অনুর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ের নায়ক ছিলেন পঞ্চগড়ের অজ পাড়াগাঁয়ের নারী ফুটবলার ইয়ারজান বেগম। কিন্তু দেশসেরা ওই নারী ফুটবলারের বাবা-মা থাকতেন কুঁড়েঘরে। ইয়ারজানের মা রেনু বেগম কৃষি শ্রমিক হিসেবে দিনমজুরী করে সংসার চালাতেন। বাবা আব্দুর রাজ্জাক হাপানি রোগী হওয়ায় কোন কাজ কর্ম করতে পারেন না। মায়ের আয় দিয়েই কোন মতে খেয়ে না খেয়ে চলতো চারজনের সংসার। ঘরের অবস্থাও ছিলো জরাজীর্ন। ছিলো একটি ভালো টয়লেট। সাফ জয়ের পর বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে নজরে আসে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের।ইয়ারজানের পরিবারকে নানাভাবে সহযোগিতা করা হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ে আসার পরদিন ইয়ারজানকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তার বাড়ি পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম। এ সময় তিনি ইয়ারজানের পরিবারের জন্য পাকা বাড়ি করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর প্রশাসনের উদ্যোগে প্রায় ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করা হয়। সেই সাথে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ওয়াশরুম, টয়লেট ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে ইয়ারজানের বাবা-মায়ের হাতে ‘ইয়ারজান নীড়’র চাবি হস্তান্তর করেন পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম। এ সময় বিশেষ মোনাজাত শেষে স্থানীয়দের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মিনহাজুর রহমান, হাড়িভাসা ইউপি চেয়ারম্যান সাইয়েদ নুর ই আলম, স্থানীয় আওয়ামী নেতা ওসমান গণিসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় সাড়ে নয় লাখ টাকায় তৈরী করা বাড়িতে রয়েছে ওয়াশরুম কাম টয়লেট ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা। ঈদের আগেই এমন উপহার পেয়ে উচ্ছ¡সিত ইয়ারজান ও তার পরিবার।
ইয়ারজান বলেন, ঈদের আগে আমার জন্য এটি দারুন একটি উপহার। আমি খুব খুশি হয়েছি। আমার বাবা-মা একদিন পাকা ঘরে ঘুমাবে, আমি এমনটাই আশা করেছিলাম। আজকে জেলা প্রশাসক স্যারের জন্য আমার সেই আশা পুরণ হয়েছে। আমার জন্য সকলেই দোয়া করবেন।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরা চেয়েছি পঞ্চগড়ের কৃতিসন্তান ইয়ারজান ও তার পরিবার যেন সম্মানের সাথে বসবাস করতে পারে। এজন্য দুই কক্ষের সেমি পাকা ঘর, ওয়াশরুম, টয়লেটসহ সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। #