ভোলাহাটে নাইটকোচ স্টাফ ও যাত্রীদের সংঘর্ষে আহত ৬

এম. এস. আই শরীফ, ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে চলাচলরত নাইটকোচ স্টাফ ও যাত্রী সাধারণের মাঝে কথা কাটাকাটির আক্রোশে মারামারিতে ৬ জন আহত! প্রেক্ষিতে সালিশ প্রক্রিয়ায় আইনকে শ্রদ্ধা রেখে উভয়ের সমঝোতায় বিচারকদের বিধান জারী হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার প্রাণকেন্দ্র সন্ন্যাসীতলা মেডিকেলমোড় থেকে ছেড়ে যাওয়া নাইটকোচ সাথী ও চাঁপাই ট্রাভেলসসহ অন্যসব দূরপাল্লার গাড়ী প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা হতে রাত্রি ৯টায় ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে ছেড়ে যায়। ফিরতী ঢাকা থেকে ভোলাহাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা নাইচকোচ চাঁপাই ট্রাভেলস-এর সূত্রপাৎ ও পরে সাথী ও জমজম ট্রাভেলসের স্টাফ ও যাত্রী সাধারণের মাঝে সোমবার (৯ জুন ২০২৫) সকাল সাড়ে ৬টায় মেডিকেলমোড়ের নাইটকোচ টার্মিনালে একে-অপরকে ধাক্কাধাক্কি, চরথাপ্পর ও গালিগালাজের জের ধরে ৬ জন আহত হয়। এর মধ্যে ১জন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয় ও অপর ৫জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ আছেন বলে নাইটকোচ স্টাফের কাছে জানা যায়।
প্রেক্ষিতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নাইটকোচ স্টাফ ও মারামারির ঘটনায় জড়িত সকলকে নিয়ে ভোলাহাট প্রেসক্লাব ভবনে সালিশে নাইটকোচ স্টাফ মোঃ শরিফুল ইসলাম শরীফের সভাপতিত্বে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন, ভোলাহাট প্রেসক্লাব সভাপতি ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোঃ আমিনুল ইসলাম আমিন এর ব্যক্তিগত সহকারী কায়সার আহমেদ। সহসভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক এম. এস. আই শরীফ।
নাইটকোচ স্টাফ ও যাত্রী সাধারণের মাঝে ঘটনায় সালিশে বিচারকমণ্ডলীদের মধ্য হতে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সালিশে উপস্থিত সকলের অবগতির জন্য বলা হয়। মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে। ভুলের উর্ধ্বে কেউই আমরা নই। তাই আমরা সমঝোতা করে নিরসনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবো।
মরণ কথা স্বরণ করে বিশেষ করে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে উভয়ের মধ্যে সমঝোতা রেখে নাইটকোচ ও যাত্রী সাধারণের সকলপ্রকার বাধাবিপত্তি থেকে রক্ষা পেতে তারা একটি বিধান লিপিবদ্ধ করে। বিচারে উপস্থিত সকলের ও নাইটকোট স্টাফ সর্বোপরি নাইটকোচ যাত্রীদের উপকারার্থে এ বিধান জারী করবেন বলে লিখিতভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
ভোলাহাট উপজেলার সকলস্তরের নাইটকোচ যাত্রী সাধারণের জন্য ও নাইটকোচ স্টাফদের সার্বিক মঙ্গল কামনা করে সালিশের মুখ্য পরিচালক কায়সার আহমেদের সুপরামর্শে উপস্থিত সকলের মতামতের ভিত্তিতে একটি স্থায়াী বিধান জারী করবেন, যা এলাকার সাধারণ যাত্রী সাধারণসহ গাড়ী চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারের সুবিধে হবে বলে সালিশে উভয়পক্ষ সাধুবাদ জানানো হয়।