মো: সাইদুর রহমান : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউপির বাহিরমাদী গ্রামে পারিবারিক দন্দ কে কেন্দ্র করে হামলা বাড়ি ভাংচুর নগদ টাকা স্বর্নালংকার সহ ১০ লাক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ।

এই ঘটনায় বাড়ি মালিক ও স্ত্রী ২ জন আহত হয়ে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সংবাদ পেয়ে দৌলতপুর উপজেলা যৌথ বাহিনী দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে । এ ঘটনায় বাড়ির মালিক ফজলুল হক বিশ্বাস বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ও পরিবার সুত্রে জানাযায়, বাদী ফজলুল হকের ছেলে আকিমুল ইসলাম র্দূজযের সাথে প্রতিবেশি আব্দুল হকের মেয়ে নদী খাতুনের সাথে গত ৪ বৎসর আগে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিবাহ হয়েছে। তাদের মাঝে ছেলে সন্তান হয়েছে। কিন্তু র্দূজয় ও তার স্ত্রী নদীর সাথে সংসারে প্রায় পারিবারিক দন্দ লেগে থাকে। তার ধারাবাহিকতায গত ১৬/৫/২০২৫ ইং তারিখে সন্ধ্যাই তাদের মধ্যে ঝড়গা বিবাদ দেখা দিলে র্দূজয়ের উপর রাগ করে স্ত্রী নদী তার পিতার বাড়িতে চলে যায়। এ সময তার পিতার বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তার বড় ভাই নয়ন ইসলামের নেতৃীত্বে রাব্বি হোসেন (২৫), সাগর (৫০),সোহেল (১৮) বিকাশ (২০) সহ প্রায় ২০/২৫ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল লাঠি সুঠা, ধারাল অস্ত্র নিয়ে তার বাড়ির উপর এসে হামলা চালায় এবং বাড়ির জালানার গ্লাস, ও সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে এবং বাড়ির ভিতরে এসে দরজা ভাংচুর করে ভিতরে প্রবেশ করে নগদ ২ লাখ টাকা, ৩ ভরি স্বর্নালংকার সহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট পাট করে নিয়ে যায়। এ সময র্দূজয়ের মা লৎফন নেছা (৫৬) কে মুখ কিল-ঘুষি মেরে ফোলা জখম করে এ সময় তার পিতা ফজলুল হক বাধা দিতে আসলে তাকে মার পিট করে জখম করে। এ সময় দৌলতপুর যৌথবাহিনি সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। পরে এলাকাবাসী আহত ২ জন কে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় র্দূজয়ের পিতা নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলার জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।