# Tags

নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়েকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন 

হুমায়ুন কবীর রিন্টু, নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: আব্দুল গফফারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন  দূর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার  অভিযোগ এনে অবিলম্বে তাঁর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন  অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) সকাল ১০টায় সদর হাসপাতালের সামনে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল-ক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ড্রাগ সমিতি জেলা শাখার আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল-ক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক অনার্স অ্যাসোসিয়েশন নড়াইল জেলা শাখার সভাপতি বিদ্যুৎ সান্ন্যালের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক এসএম সাজ্জাদ রহমান,সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম তরিক, সরোয়ার হোসেন,মো: সোহেল রানা, কামরুল বিশ্বাস প্রমূখ।
বক্তারা বলেন,মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সরকার ডা: আব্দুল গফফারকে জেলা সদর হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ দান করলেও তিনি সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। ফলে হাসপাতালে আগত রোগীরা বিশেষ করে অসহায়,দু:স্থ ও গরীব মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। খাদ্য সরবরাহের ঠিকদারের সাথে গোপন আঁতাতের কারণে ভর্তি রোগীদের মানসম্মত খাবারের পরিবর্তে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।হাসপাতালে সরকারিভাবে আল্ট্রাসনো মেশিন থাকলেও সেটিকে বিকল করে রেখে তত্ত্বাবধায়ক হাসপাতালের নিচতলায় অবস্থিত এনজিও পরিচালিত আরএইচ স্টেপে অর্থের বিনিময়ে হাসপাতালের ডিউটি বাদ রেখে নিয়মিতভাবে আল্ট্রাসনো করে যাচ্ছেন।তাঁর কক্ষে কোনো রোগী এলে তাকে আরএইচ স্টেপে আল্ট্রাসনোর জন্য পাঠিয়ে থাকেন। রোগীদের আল্ট্রাসনোগ্রামে তিনি কখনো কখনো ভূল রিপোর্ট লিখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতালে যোগদানের পর হাসপাতালে সরবরাহ করা ওষুধসহ অন্যান্য মালামাল চুরির করে বিক্রির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।জনস্বার্থে অবিলম্বে তাকে হাসপাতাল থেকে প্রত্যাহারপূর্বক শাস্তির দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে হাসপাতলের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আব্দুল গফফার জানান তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি কোনো অনিয়ম ও দূনীতির সাথে জড়িত নন।জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দালালদের হাসপাতালে ঢোকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটায় তার র বিরুদ্ধে অপতৎপরতা ও নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তবে তারে বক্তব্যকে নাকচ করে দিয়ে নড়াইল জেলা বেসরকারি ক্লিনিক মালিক সমিতির নেতা তরিকুল ইসলাম তরিক বলেন, নড়াইল সদর হাসপাতালে যোগদানের পর থেকেই তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আব্দুল গাফফার দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। হাসপাতালের উন্নয়নমূলক কাজ সেবামূলক কাজ সহ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে তার দুর্নীতির সুস্পষ্ট। ইতোপূর্বে হাসপাতালে কাজ ও উন্নয়নমূলক যত কাজ হয়েছে প্রত্যেকটি কাজ থেকে তিনি কমিশন নিয়েছেন। যে কারণে কাজের মান নিম্নমান হয়েছে। হাসপাতালে মালামাল সরবরাহের বিগত সময়ের কাগজপত্র এবং সরবরাহকৃত মালামাল পর্যালোচনা করলে তার দুর্নীতির সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলবে। অর্থের লোভে তিনি অতি নিম্নমানের দুর্নীতি ও অন্যায় অপকর্ম করতে অধিকা করেন না। নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কর্মরত থাকায় তার ব্যক্তিগত নওয়াপাড়ার প্রাইভেট ক্লিনিক টি চালাতে তার অনেক সহজ হয় তথা খরচ কম হয়। দুর্নীতি অন্যায় অপরাধ করে তিনি নিজ নামে অন্যের নামে অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। নওয়াপাড়া এলাকায় তার বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতার অভিযোগ রয়েছে। মুখে ভালো ভালো কথা বললেও তার অপকর্মের শেষ নেই। দুদকের অভিযান পরিচালিত হলে তার সকল প্রকারর
 দুর্নীতি অনিয়মের তথ্যচিত্র বেরিয়ে আসবে।