# Tags

বিচ্ছিন্ন হওয়া হাতের কব্জি জোড়া লাগালেন কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারের চিকিৎসকরা

মোঃ মাহফুজ আনোয়ার, জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা-কুমিল্লা বরড়া, উপজেলা নানুয়া বাজার, হরিসপুর এলাকার বাসিন্দা নোমান হোসেন, পেশায় একজন ব্যাটারি চালিত অটো ভ্যান চালনক, তিনি স-মেইলে গাছ নিয়ে যান কাটাতে, সেখানে মেশিনে করাত চলমান অস্তায় গাছের অংশ রাখতে গিয়ে অসর্তকতা কারণে তার হাত করাতে লেগে কবজির উপর অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে যায়।

দুর্ঘটনার পর নোমান হোসেন ভেবেছিলেন কোনভাবে তার হাতের অংশ আবার জোড়া লাগাতে হবে। তিনি ও তার সহযোগীদেরা কাটা অংশের কব্জি নিয়ে কুমিল্লা ট্রমা হাসপাতালে হাসপাতে ২৯ এপ্রিল ভর্তী হন,

সেখানে বার্ণ এবং প্লাস্টিক সার্জারী বিশেষণ্ণ ডাক্তার কামরুল ইসলাম মামুন, এবং অর্থোপেডিক সার্জন ডাক্তার সাইফ মাহমুদ, ট্রমা সেন্টারের সিনিয়র ওটি ইনচার্জ জহিরুল ইসলামসহ মেডিকেল টিম সেই রাতেই কাটা হাতের কবজি জোড়া লাগানোর জন্য অস্ত্রোপচার করতে সক্ষম হন।

চিকিৎসকরা বলছেন, হাত, পা বা শরীরের কোনও অংশ আলাদা হয়ে গেলে, কিছু নিয়ম মেনে চললে এই কাটা অঙ্গটি পুনরায় জোড়া লাগানো সম্ভব। সাফল্য নির্ভর করে সরু রক্তনালী গুলির অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সূক্ষ্মভাবে জোড়া দেওয়া যায় তার উপর।

এছাড়াও শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন অঙ্গটি দ্রুত কাপড়ের গজ দিয়ে মুড়িয়ে বা স্যালাইনে ভিজিয়ে ব্যান্ডেজ দিয়ে মুড়িয়ে রাখতে হবে। পরে মোড়ানো অঙ্গটি শুকনো ব্যাগে ভরে মুখ ভালোভাবে বন্ধ করে পলিথিন বা পাত্রে আলাদাভাবে বরফ নিয়ে। দুটি ব্যাগ পাশাপাশি রাখতে হবে, যেন কাটা অঙ্গটি কোনও ভাবেই বরফ বা জলে মিশে না যায়।

কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারের পরিচালক ও অর্থোপেডিক সার্জারী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাক্তার আব্দুল হক বলেন- রুগীদের সেবা দিতে আগ্রহী আমরা কারণ সেবাই আমাদের কাজ, কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু রুগীর স্বজনরা বুঝতে চায়না তারা খুব তারাহুরো করে এতে অনেক বিব্রতকর হতে হয়।