বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র ফাঁস,দুদকের আকস্মিক অভিযান

তানভীর আহাম্মেদ,দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল থেকেই ফাঁদ পেতে থাকে, পরে ১১টার সময় দুর্নীতি দমন কমিশন দিনাজপুর জেলা সহকারী পরিচালক মোঃ ইসমাইল হোসেন এর নেতৃত্বে সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খতিয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে সরেজমিন থেকে জানা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৩ টাকার স্থলে ৫ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এক্স-রে রিপোর্টের টাকাও আত্মসাৎ করে মনোরঞ্জন। আবাসিক রোগীদের খাবারও দেওয়া হয় নিম্নমানের চাল, দেশি মুরগির মাংসের দিন ব্রয়লার, মাছ ও মাংসের ওজনে কম দিচ্ছে ঠিকাদার। একই সঙ্গে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয় এ হাসপাতালটি। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে চিকিৎসা সেবা, খাবারের মান আরো উন্নত ও সার্বিক বিষয়ে নজরদারি করার জন্য টিম কর্তৃক পরামর্শ প্রদান করা হয়।
দুদকের দিনাজপুর জেলা সহকারী পরিচালক মোঃ ইসমাইল হোসেন বলেন, আমাদের কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। প্যাথলজি বিভাগ ও এক্স-রে বিভাগে টেস্টের টাকা আলাদা খসড়া কাগজে তালিকা করে, পরে রেজিস্টার খাতায় মাত্র ৬ বা ৭ জনের নাম লেখে আর বাকি টাকা আত্মসাৎ করার প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছি। হাসপাতালে খাবারের মানে ঠিকাদারকে দৈনিক ১৭৫ টাকা করে দেওয়ার কথা, সেই খাবার আমরা দেখেছি ২৮ চালের ভাত দেওয়ার কথা। সেখানে মোটা চাল দিচ্ছেন। আমরা রিপোর্ট পত্র পেলে এ তদন্তের আলোকে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করবো। আমাদের দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে যে ব্যবস্থার কথা বলা হবে, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারা যে সকল খসড়া গুলো করে, সে সকল কাগজপত্র ও নথি আমরা নিয়েছি। এক্স-রে বিভাগে ১ জন, একাউন্ট্যান্টের কিছু অসঙ্গতি রয়েছে সেগুলোকে পর্যালোচনা করে আমরা প্রতিবেদন তৈরি করব।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আফরোজ লুনা বলেন, এ সকল বিষয়ে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিভিল সার্জনকে লিখিতভাবে জানানো হবে, তিনি পদক্ষেপ নেবেন।