# Tags

তীব্র শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়ের মানুষ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি-মাঘের মাঝামাঝিতে এসে তীব্র শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়ের মানুষ। এখানকার শীতার্ত মানুষরা বলছেন বিগত কয়েক বছরের চেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বেশি শীত অনুভ‚ত হয়েছে। যদিও গতকাল সকাল ৯টায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। গত বুধবারও এখানে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল থেকে রোগ থাকায় এ দিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৃদু মানের এই শৈত্যপ্রবাহ হলেও গতকাল শীত অনুভ‚ত হয়েছে অনেক বেশি। এ অবস্থা আরও দুইদিন চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
গত বুধবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় ঘন কুয়াশা। সেই সাথে উত্তরের কনকনে হিমেল বাতাসে কাবু হতে থাকে পঞ্চগড়ের মানুষ। রাত বাড়ার সাথে সাথে ঘন কুয়াশা ঝড়েছে বৃষ্টির পানির মত। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালেও ছিল একই অবস্থা। দুপুরের দিকে কুয়াশা কেটে সূর্যের মূখ দেখা যায়। তবে উত্তরের কনকনে হিম শীতল বাতাস প্রবাহিত অব্যাহত থাকায় সূর্যের তেজ গায়ে লাগেনি। জীবিকার তাগিদে তীব্র শীত উপেক্ষা করে সকালেই কাজে যোগ দেয়া খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। সীমাহীন কষ্টে রয়েছেন রিকশা-ভ্যানচালক ও কৃষি শ্রমিকরা। শীতের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রিকশা-ভ্যানে উঠতে চায় না। কনকনে শীতের কারণে দৈনন্দিন আয় কমে গেছে এসব শ্রমজীবী মানুষের।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার বলেয়াপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ আব্দুর রহমান জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে যে শীত অনুভ‚ত হয়েছে তা বিগত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এ অবস্থা চললে আমরা আর টিকবো না। একটি কম্বলের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। কিন্তু পাইনি।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় এখানে সর্বনি¤œ ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ঘন কুয়াশার কারণে দুপুুর পর্যন্ত সূর্যের মূখ দেখা না যাওয়াসহ উত্তরের হিম শীতল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভ‚ত হয়েছে। এ অবস্থা আরও দুইদিন থাকবে বলে তিনি জানান। এরপর থেকে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমবে।

তীব্র শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়ের মানুষ

একটি দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে পূর্ণ