# Tags

চকরিয়ায় জাফরের সাম্রাজ্য রক্ষায় যুবলীগ নেতা বেলাল ও সমন্বয়ক সোহাগের সিন্ডিকেট

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি-কক্সবাজারের চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফরের সাম্রজ্য রক্ষায় তার অন্যতম অস্ত্র সরবরাহকারী চকরিয়া পৌর যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক কথিত ভাইস চেয়ারম্যান দাবিদার বেলাল উদ্দিন শান্ত ও সময়ক পরিচয়দানকারী আবুল হাসনাত সোহাগের নেতৃত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে কিছু সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও দখলবাজ সিন্ডিকেটের করে জাফরের সহায় সম্পতি দখলের রাখার জন্য নতুন করে সিন্ডকেট করার অভিযোগ উঠেছে।
চকরিয়া উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক মহিউদ্দিন পুতু জানান, বিগত পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের কক্সবাজার-১ (চকরিয়া -পেকুয়া) সাবেক এমপি জাফর আলম ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন এলাকায় জায়গা জমি, চিংড়ি ঘেরসহ শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছে। ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের দোসর সন্ত্রাসী জাফর আলম বেশ কয়েক মাস আত্মগোপনে চলে যায়। গত মাসে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তাকে ঢাকা থেকে আটক করে।
জাফর আলম আত্মগোপনে থেকে ভিন্ন জনের মোবাইল সিম ব্যবহার করে তার বাহিনীদের সক্রিয় করে রাখে এবং প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে তার প্রভাব বিস্তার বজায় রেখেছেন।
মহিউদ্দিন পুতু আরো জানান, চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগর ঘোনা এলাকায় মাতামুহুরী নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ার সুযোগে প্রায় ৩৩একর জমি নদীতে রুপান্তরিত হয়। জাফর আলম ক্ষমতায় অপব্যবহার করে সরকারের রাজস্ব না দিয়ে ও সাধারণ মানুষের জায়গায় গুলো দখল করে মাছ চাষ করে আসছে। পাশাপাশি চকরিয়া ও মাতামুহুরী এলাকার সন্ত্রাসী জড়ো হয়ে রাজ পথে গনতন্ত্রকামীদের প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে গুলি করে দলীয় নেতা কর্মীদের হত্যা করত। কৃষক খামারীদের গরু মহিষ ছাগল ডাকাতের আস্থানা ছিল।
সরকার পরিবর্তনের পর কথিত এমপি জাফর পালিয়ে গেলে বর্তমান সরকার বদ্ধজনমহল মাছ চাষের জন্য ইজারার আওতায় নিয়ে আসে। এর ধারাবাহিকতায় সরকার উক্ত জায়গাটি ইজারা দেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করে। দরপত্র মোতাবেক বেশ কয়েক জন ইজারাদার জন্য দরপত্র সংগ্রহ করে।
অভিযোগ উঠেছে, দরপত্র দাতার মধ্যে জাফর আলমের লোকজন সিন্ডিকেট করে নানা ছদ্মবেশে দরপত্র ক্রয় করে। আবেদনকারীদের মধ্যে জায়গাটাটি হাত ছাড়া না করতে একজনকে সমন্বয়ক দেখিয়েছে।
সমন্বয়ক নামধারী পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের একজন ছাত্রলীগ নেতা। এর পাশাপাশি দখলে জড়িত রয়েছে চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিপুল অবৈধ অস্ত্রের মালিক কাহারিয়া ঘোনা এলাকার বাসিন্দা বেলাল উদ্দিন শান্ত, সদরঘোনার সাবেক ছাত্রলীগনেতা বর্তমান যুবলীগ নেতা শেখ সালাউদ্দিন ও সমন্বয়ক আবুল হাসনাত সোহাগ।
আওয়ামী লীগের দোসররা জাফর আলমের সন্ত্রাসী বাহিনীরা তার সাম্রাজ্য দখলে রাখতে এ কৌশল অবলম্বন করেছে বলে স্থানীয় একাধিক ভোক্তভোগি জানান।
অভিযুক্ত সমন্বয়ক পরিচয়দানকারী আবুল হাসন্নাত সোহাগ কাছে সাবেক এমপি জাফরের সম্পতি রক্ষা করার জন্য আপনি ও পৌর যুবলীগ নেতা বেলাল ও শেখ সালাউদ্দিনের নেতেৃত্বে একটি সিন্ডিকেট গঠন করেছেন। এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারীভাবে ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করার জন্য নিয়েছি এখানে অনিয়ন ও সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ক্ষমতা অপব্যবহার করার প্রশ্ন আসে না।
আরেক অভিযুক্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত যুবলীগ নেতা বেলাল উদ্দিন শান্ত তার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, এমপি জাফরের সাথে আমার কোন ধরণের সম্পর্ক নাই ৫বছরের ধরে।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শফিকুল ইসলাম জলমহল ডাকাতি, লুটপাট ও চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা মাছ লুট ও বাসা ভানচুর করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রজু করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন অবিলম্বে আওয়ামী লীগের দোসরের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা ও দোসরদের ইজারা বাতিল করে পুনরায় ইজারার দরপত্র আহ্বানের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।