# Tags

চকরিয়ায় মাদ্রাসার ছাত্রীকে অপহরণের পাঁচ মাসেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ

চকরিয়া(কক্সবাজার) প্রতিনিধি-কক্সবাজারের চকরিয়ায় অষ্টম শ্রেণির মাদ্রাসার ছাত্রীকে অপহরণের পাঁচ মাস পরও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

অপহৃত ওই ছাত্রীর নাম আফরিন জন্নাত রিছি (১৪)। সে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড দক্ষিণ ঘুনিয়া এলাকার ব্যবসায়ি আবদুল হামিদের কন্যা ও পৌরসভার দিগরপানখালী দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। মেয়েকে ফিরে পেতে প্রশাসনের দারে দারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভূক্তভোগী অসহায় পরিবারের সদস্যরা।
অপহরণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পাঁচ মাস পার হলেও পুলিশ কার্যত কোন পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় গণমাধ্যমের শরনাপন্ন হয়েছে পরিবারটি।
শনিবার (১০ মে) বিকেলে চকরিয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেয়েকে ফিরে পেতে আকুতি জানান রিছির বাবা ব্যবসায়ি আব্দুল হামিদ।
সাংবাদিকদের আবদুল হামিদ বলেন, তার বাড়ি উপজেলার ফাঁসিয়াখলী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঘুনিয়া গ্রামে। মেয়ে আফরিন জন্নাত রিছি পাশ^বর্তী দিগরপানখালী দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্রী। প্রাইভেটে যাওয়ার পথে আরমান নামের বখাটে ছেলে প্রতিদিন উক্তত্য ও ইভটিজিং করতো। অনেক সময় অপহরণের হুমকিও দিতো। বিষয়টি মাদ্রাসার শিক্ষকদের অবহিত করা হয়।
এরপরও কোন সুরাহ পায়নি। বখাটে ওই যুবক চকরিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মৌলভীপাড়ার পুকপুকুরিয়া গ্রামে মৃত মো. ছৈয়দের পুত্র।
ব্যবসায়ি আবদুল হামিদ বলেন, তার মেয়ে রিছি গত ২০২৪ সালের ১৬ডিসেম্বর সকাল ৭টার দিকে মাদ্রাসায় প্রাইভেটে যাওয়ার সময় বখাটে যুবক আরমানের নেতৃত্বে ৩-৪ জন সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে একটি মাইক্রোবাসে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওইসময় আমার মেয়ে চিৎকার দিলেও অস্ত্রের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজির পর তার খোজ মেলেনি। ওইবছরের ২৩ ডিসেম্বর চকরিয়া থানায় মেয়ের মা রায়হান জন্নাত বাদি হয়ে মোহাম্মদ আরমানসহ অজ্ঞানামা ৪-৫ জনকে আসামী করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের ৫ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পুলিশ তার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি। তার মেয়ের খোজ না পেয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা চরম দু:চিন্তায় রয়েছেন। অপহৃতকে উদ্ধার বা আসামীকে ধরার জন্য চকরিয়া থানা পুলিশের কোন তৎপরতাও দেখাও যাচ্ছে না। উদ্ধার নিয়ে পুলিশকে একাধিকবার বলা হলেও তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
আবদুল হামিদ বলেন, অপহরণকারী আরমান চিরিংগা ইউনিয়নের নারী নেত্রী ইয়াছমিন আক্তারের আশ্রয়ে রয়েছেন। ওই নারী পুলিশকে প্রভাবিত করার কারণে ভিকটিম উদ্ধার বা মামলার অগ্রগতি হচ্ছে না বলে তিনি দাবী করেন। মামলার প্রধান আসামী আরমান পেশাদার অপহরণকারীদলের সদস্য হওয়ায় ভয়ে রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এমতবস্থায় মেয়েকে ফিরে ফেতে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন এ দম্পতি।
এব্যাপারে চকরিয়া থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও এসআই সুজন বডুয়া জানান, মামলাটির অন্য একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করেছে। পরে তিনি বদলী হওয়াতে আমি তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ভিকটিম উদ্ধারে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তবে মেয়ের মা-বাবার অসহযোগিতার কারণে এগুতে পারেনি। যে কোনভাবে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হবে বলে জানান তিনি। ##