বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

মাদারীপুর প্রতিনিধি-মাদারীপুর সদর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
অনিয়মের অভিযোগ উঠলে সম্প্রতি কলেজের এডহক কমিটি থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।এই তদন্ত কমিটি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে বিধি লঙ্ঘন করে বিধিবহির্ভূতভাবে ফারুক মাতুব্বর নামে একজনকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কলেজটি ২০১১ সালে অনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। ২০১৫ সালে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে নিযোগ লাভ করেন ফারুক হোসেন মাতুব্বর। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় ফারুক হোসেন মাতুব্বরকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। অভিযোগ রয়েছে ২০১৭ সালের অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষা অনিয়মের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়েছে। বিধি মোতাবেক একজন অধ্যক্ষ নিয়োগ পেতে হলে তার কমপক্ষে ১২ বছর প্রভাষক এবং ৩ বছর উপাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত থাকার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সেই অভিজ্ঞতা ছিলো না ফারুক মাতুব্বরের।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসমাতুন নেছা বলেন, ফারুক হোসেন মাতুব্বর এই কলেজের অধ্যক্ষ না। তিনি কলেজের অধ্যক্ষ দাবী করেন॥ তিনি জালিয়াতি করে নিয়োগ নিয়েছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি অহিদুজ্জামান খান বলেন, ফারুক হোসেন মাতুব্বর ২০১৫ সালে কলেজের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ২০১৭ সালে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ফারুক হোসেন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ লাভ করেছেন বলে দাবী করেন। অথচ এটা ছিলো ভুয়া একটি বিজ্ঞপ্তি। এই পরীক্ষায় যাদের অংশগ্রহনকারী হিসেবে দেখানো হয়েছে তারা কেউই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। তদন্ত কমিটি এমন প্রমান পেয়েছে।
২০১৭ সালের নিয়োগ পরীক্ষার সময় সুরঞ্জন বিশ্বাসকে কাগজে কলমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দেখানো হয় এবং তিনিই ফারুক হোসেন মাতুব্বরকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। তবে সুরঞ্জন বিশ্বাস জানান, তিনি কখনও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন না। তিনি কাউকে নিয়োগ দেননি। বিষয়টি ভিত্তিহীন। তবে এসব অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফারুক মাতুব্বর। তিনি বলেন, সঠিক নিয়মেই তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।