লোহাগড়ার পারশালনগরে জমি ও গাছ নিয়ে বিরোধে স্বামী-স্ত্রীসহ ছেলেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখমের অভিযোগ

ইকবাল হাসান, নড়াইল প্রতিনিধি-নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পারশালনগরে পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত জমাজমিতে লাগানো ফলজ ও বনজ গাছ নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে স্বামী, স্ত্রী ও ছেলেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করবার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, পারশালনগর গ্রামের খন্দকার রেজওয়ান আলী মিঠুর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত জমাজমিতে লাগানো ফলজ ও বনজ গাছ নিয়ে প্রতিপক্ষদের সাথে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিলো। বিরোধের জের ধরে গত ১এপ্রিল সকালে পার শালনগরের সৈয়দ মিজানুর,সৈয়দ আমিনুর,সৈয়দ শাহিন, হাসিনা বেগম,যুথী বেগম সহ আরো ৫/৬জনে জোরপূর্বক খন্দকার রেজওয়ান আলী মিঠুর জমি থেকে মূল্যবান ১০/১২টি মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে যায়। যার মূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা।গাছ কাটায় বাধা দেওয়ায় তারা খন্দকার রেজওয়ান আলী মিঠু(৫০) ও তার স্ত্রী ইসমত আরা বেবী(৪৪) ও ছেলে অর্পন খন্দকার (২৫) কে রামদা,ছ্যানদা, লাঠি দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। মারাত্বক জখম খন্দকার রেজওয়ান আলী মিঠু কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। দূর্বৃত্তরা ইসমত আরা বেবীকে মারপিট করে আহত করে ও শ্লীলতাহানী করে। মারপিটের সময় তারা ওই নারীর স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। দূর্বৃত্তরা এখন মিঠুর পরিবারকে হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। আহতরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় আহত ইসমত আরা বেবী বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় ৪ এপ্রিল এজাহার দাখিল করেছেন।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ওসি মোঃ আশিকুর রহমান বলেন, মারপিটের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।
অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।