# Tags

সারিয়াকান্দির জোড়গাছায় জমে উঠেছে কোরবানীর পশুরহাট

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে জমে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী জোড়গাছা কোরবানীর পশুর হাট। হাটে দেশীয় মোটাতাজা গরু কেনাবেচার ধুম পড়েছে। তুলনামূলক ভাবে অন্য বছর থেকে দাম একটু বেশি হলেও পছন্দের গরু কিনতে হাটে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে। বিশেষ করে হাটে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ও খাজনা (আসিল) কম থাকায় হাটে কেনাবেচা বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

জানাগেছে, কেনাবেচার সুবিধার্থে দীর্ঘ এক বছর পর এলাবাসীর সার্বিক সহযোগীতায় জোড়গাছা উচ্চ বিদ‍্যালয় মাঠে এবারো কোরবানীর পশুর হাট বসেছে। প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও শুক্রবার হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী হাট বার। এরই অংশ হিসেবে ১৯ মে সোমবার পশুর হাট বসে। হাটে নিরাপত্তায় থানা পুলিশ মোতায়েন ছিল। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উৎসাহিত করতে হাট কমিটির পক্ষ থেকে ফিস কমিয়ে দেয়া হয়। এতে পছন্দের গরু কিনে রশিদ করাতে আসিল (খাজনা) অফিসে রীতিমতো লাইন পড়ে যায়। হাটে প্রতিটি গরু ৫৫ হাজার থেকে দেড়লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। গরু প্রতি আসিল ফিস মাত্র ২০০ টাকা এবং ছাগলের জন‍্যে ১০০ টাকা রাখা হচ্ছে। এতে হাটে কেনাবেচার ধুম পড়ে গেছে। আসিলের দায়িত্বে থাকা জোড়গাছা পশুর হাটের সভাপতি রফিকুল ইসাম (বাবলু) ও রেজাউদৌলা মামুন সহ তাদের নিয়োজিত কর্মীরা শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দিন ব্যাপী দায়িত্ব পালন করেন।

স্থানীয়রা জানান, সারিয়াকান্দি উপজেলার মধ‍্যে একটা ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট ছিল এটি। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর গত বছর হাটটিতে গরু-ছাগল কেনাবেচা শুরু হলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও পূর্বে হাট কমিটির দুর্নীতির কারণে কেনাবেচা বন্ধ হয়ে যায়। এলাকাবাসির সার্বিক সহযোগিতায় পূণরায় হাটটি বসায় এখানে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম হবে। এতে এখানে বিভিন্ন ব‍্যবসায়ীদের বেচাকেনা বৃদ্ধি পাবে।

গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘীর মালিয়ানডাঙ্গা গ্রামের লিটন মিয়া, সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ছাগলধরা গ্রামের ছনি মিয়া সহ ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকে বলেন, আসিলের ফিস কম থাকায় ও শৃঙ্খলা থাকায় বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। শফিকুল, মজনু সহ ক্রেতাদের মধ্যে অনেকে বলেন, এবার দাম একটু বেশি হলেও দেশীয় পছন্দের গরু কিনতে পেয়ে ভালো লাগছে।

হাট কমিটির পক্ষ থেকে হাটের সেক্রেটারি ও ভেলাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডাঃ আব্দুল মান্নান বলেন, হাটে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা পছন্দের গরু নিয়ে এসেছেন। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উৎসাহিত করতে তারা ফিস কমিয়ে দিয়েছেন। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত হাটে কেনাবেচা চলবে। এছাড়া ঈদ পরবর্তী এখানে জাকজমকভাবে গরু-ছাগল কেনা বেচা হবে।

তরণীরহাটের সাবেক ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম জানান, পূর্ব বগুড়ার মধ‍্যে জোড়গাছা হাটটি ছিল একটি ঐতিহ্যবাহী পশুরহাট। এখানে মঙ্গলবারের পরিবর্তে সোমবার হাট বসেছে। হাটটি পূণরায় জাকজমক ভাবে লাগাতে ব‍্যবসায়ীদের পাঠিয়ে তিনি সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।