গৌরনদীতে কিশোরীকে অপহরণ করে এক মাস আটকে রেখে ধর্ষণ, মামলা দায়ের
গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি-বরিশালের গৌরনদীতে অপহরণ করে এক কিশোরীকে (১৫) ৩০দিন আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে ৪ জনকে আসামি করে গৌরনদী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ধর্ষণ মামলার আসামিরা হলেন- গৌরনদী উপজেলার টিকাসার গ্রামের রহিম হাওলাদারের ছেলে সাব্বির হাওলাদার (১৯), উজিরপুর উপজেলার উত্তর মোড়াকাঠি গ্রামের মো. ইব্রাহিম হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৩), লিমন হাওলাদার (২১), ইব্রাহিমের স্ত্রী দুলুফা বেগম (৪৫)। ওই কিশোরীকে শুক্রবার দুপুরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষণ মামলার বাদি অভিযোগ করে বলেন, গত ৬ মাস পূর্বে বখাটে সাব্বির হাওলাদারের সঙ্গে আমার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ১১ মে রাতে প্রকৃতির ডাাকে সারা দিয়ে আমার মেয়ে ঘরের বাইরে বের হয়। এ সময় ওৎ পেতে পেতে থাকা সাব্বির আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসামিদের পরস্পর সহায়তায় লিমনের মাহিন্দ্রা তুলে আমার কিশোরী মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এরপর আগৈলঝাড়া উপজেলার রান্তা গ্রামে লিমনের নানার বসত ঘরে আটকে রেখে দিনের পর দিন আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে সাব্বির। আমার মেয়ের এক ভরি স্বর্ণালংকার রেখে ১০ জুন রাতে মাহিন্দ্রা যোগে আমার মেয়েকে এনে আমার বাড়ির সামনের রাস্তায় ওপর ফেলে রেখে যায়। এরপর আমার মেয়ের জবানবন্দি শুনে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতে গৌরনদী মডেল থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছি।
গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানান, ধর্ষণ মামলার আসামিদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে। ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে শুক্রবার দুপুরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
