পলাশবাড়ীতে তালিকায় নাম থাকলেও কৃষি প্রণোদনার সার ও বীজ পায়নি প্রান্তিক কৃষকরা

বায়েজিদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) : গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণে ব্যপক অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে তালিকায় নাম থাকলেও পাননি প্রণোদনার সার ও বীজ, তালিকায় নাম থাকা প্রান্তিক কৃষক হোসেনপুরের রাজা মিয়া, দৌলতপুরের রাজ্জাক সরকার,আশরাফ আলী,কিশোরগাড়ীর আবু সায়েম কোন প্রকার বীজ ও সার পাননি, তালিকায় নাম থাকার পরেও সরকারের দেয়া প্রণোদনার সার বীজ না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন উপজেলা কৃষি অফিসের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা কর্মচারী সহ সকল দালালদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়ার দাবি জানান ভুক্তভোগী প্রকৃত প্রান্তিক কৃষকরা।
উল্লেখ্য গত ৯ এপ্রিল বুধবার কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে খরিপ-১ মৌসুমে আউশ (উপশী জাত) ফলনের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৮৭৫ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে জন প্রতি ৫ কেজি ধান বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার এবং ২০০ জন প্রান্তিক পাট চাষির মধ্যে জন প্রতি ১ কেজি বীজ,ডিএপি ৫ কেজি ও এমওপি ৫ কেজি করে সার বিতরণের কর্মসূচী আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হলেও পরবর্তীতে তালিকা অনুযায়ী অনেক প্রান্তিক কৃষকরা পাননি প্রণোদনার সার ও বীজ, এছাড়াও অভিযোগ আছে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ও অযোগ্য ব্যক্তিরা তালিকাভুক্ত হয়ে প্রণোদনা নিচ্ছেন, ফলে প্রকৃত কৃষকরা বাদ পরে যাচ্ছেন। তালিকায় নাম থেকেও প্রণোদনা না পাওয়া ভুক্তভোগী ২ নং হোসেনপুরের প্রকৃত কৃষক রাজা মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন তদন্ত সাপেক্ষে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কে জবাবদিহিতার আওতায় এনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হোক। এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ ফাতেমা কাওসার মিশুর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।