পলাশবাড়ীতে সিজারের সময় পেটের ভিতরে কেঁচি থাকায় গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু

বায়েজিদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা)-গাইবান্ধা পলাশবাড়ীর মা (ফাতেমা ক্লিনিকে) ডাক্তার ছাড়া সিজার করে গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু। এবং মৃত্যু রোগীর পেটের মধ্যে থেকে একটি সিজার উদ্ধার করেন।
নিহত রোগী হলেন রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বড়গোলা গ্রামের সাদা সরকার এর স্ত্রী লাকি বেগম(৩৫)।
৬ মে মঙ্গলবার এর রাতে এই ঘটনাটি ঘটলেও ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় ধামাচাপা দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
জানা যায়, ওই ক্লিনিকে সাদুল্লাপুর উপজেলার ছতর গাছা গ্রামের দ্লাল হোসনে আরা রোগীর পরিবারকে ফুশলিয়ে মা ক্লিনিকে নিয়ে আসে।
আরোও জানা যায় ইতি পুর্বেও দুই মাস পূর্বে ফাতেমা ক্লিনিকে আরো দুইটি রোগী মৃত্যু বরণ করেছে। একজনের বাড়ি ইদিলপুর ইউনিয়ন কুঞ্জম মহিপুর গ্রামে। আরেকজনের বাড়ি ইদিলপুর ইউনিয়ন মাদারহাট।
প্রতিনিয়ত এই ক্লিনিকে ক্লিনিকের ওয়ার্ড বয় মিজান একাই সিজার করে আসছে।
আরো জানা যায় এই ক্লিনিকের মালিক ফাতেমা নার্স নিজেও অনেক সিজার সম্পন্ন করে থাকে। এর আগেও ফাতেমা ক্লিনিকের মালিক ফাতেমার ভাই ডাক্তার না হয়েও একইভাবে নিজেই সিজার করতে যেয়ে অনেক রোগীর মৃত্যু ঘটিয়েছে। তার মৃত্যুর পরে এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে কসাই ফাতেমা নিজেই। বর্তমানে ফাতেমার ক্লিনিক এর ওয়ার্ড বয় মিজান ও ফাতেমা নার্স নিজেই দাপটে শহিদ সিজার অপারেশন করে আসছে। পরপর তিন মাসে তিনটি রোগের মৃত্যু ঘটলেও সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাহিরে।
তথ্য নিয়ে আরো জানা যায় যে আরো এই ক্লিনিকে রোগীকে জোরপূর্বক সিজার অপারেশনে বাধ্য করা হয়।
এই ফাতেমার খুটির জোর কোথায় তা জানতে খুব ইচ্ছা করে।
প্রভাবশালী মহল নাকি দলীয় ব্যক্তিদের ম্যানেজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই চলছে এই কসাই ফাতেমার ক্লিনিক।
সরকারি হাসপাতালের নার্স হওয়ায় এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কসাই ফাতেমা পলাশবাড়ী হাসপাতালে সকল রোগীকে তার ক্লিনিকে নিয়ে এসে ভোরপূর্বক সিজার করায়। এছাড়াও বিভিন্ন গ্রামে তার দালাল নিয়োজিত আছে। তার ক্লিনিক এর অধিকাংশ রোগী দালালের মাধ্যমে আসে। প্রশাসনের নিরব ভূমিকা পালন নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।