# Tags

বিএনপি হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে আসতে চায় না –পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

সুমন আহমেদ : বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায় বলেই আন্দোলনের নামে সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছে। হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা নির্বাচনে আসতে চায় না। তারা আওয়ামী লীগকে ভয় পায়, আওয়ামী লীগের উন্নয়নকে ভয় পায়। কিন্তু তারা জানে না, আন্দোলনে মানুষ লাগে। তারা সাধারণ মানুষকে আন্দোলনে আনতে পারেনি। কারণ মানুষ জানে, শেখ হাসিনার উন্নয়ন সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে গেছে। তাই সাধারণ মানুষ শেখ হাসিনার উন্নয়নে সাড়া দিয়ে বিএনপির আন্দোলনে যাচ্ছে না। শেখ হাসিনা নির্ঘুম রাত কাটায় মানুষের জন্য, দেশের জন্য।

৪নভেম্বর শনিবার বিকালে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার চেঙ্গারচর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মতলব গজারিয়া সংযোগ সেতু একনেকে অনুমোদন হযওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে যা ভেবেছিলাম সেটাই করেছে বিএনপি। একজন পুলিশকে হত্যার পরে লাশের ওপরে তারা আবারও হামলা করে।কয়েকজনকে হত্যা করেছে। তারা বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে, হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ করেছে।

ছেংগারচর পৌর মেয়র আলহাজ্ব আরিফ উল্লাহ সরকারের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক রেফায়েত উল্যাহ দর্জি ও পৌর কাউন্সিলর শাহজাহান মোল্লার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামীগের সহ-সভাপতি মনজুর আহমেদ,বিশিষ্ট শিল্পপতিআলহাজ্ব মাসাকাজ হারুন মানিক, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শহীদ উল্লাহ প্রধান,মতলব দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান বিএইচএম কবির আহমেদ,ছেংগারচর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসান কাইয়ুম চৌধুরী, তেজগাঁও থানা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারন সম্পাদক ওবায়েদুল্লাহ ছিদ্দিকী কাজল, সমাজসেবক কাজী জাফর আহমেদ,ষাটনল ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদাউস আলম,
কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক নেত্রী
মম আহমেদ, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মোল্লা, মতলব পৌর প্যানেল মেয়র বুলবুল চৌধুরী, ফরাজীকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম,ইসলামবাদ ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন মুকুল, উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক রেফায়েত উল্যাহ দর্জি,
ছেংগারচর পৌর কাউন্সিলর সবুজ মিয়া,ছেংগারচর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক
আবুল হোসেন ফরাজী।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, মতলব গজরিয়া ব্রিজ এটি একটি যুগান্তরকারী ইতিহাস।বিগত ৫০ বছরের চেষ্টার ফসল।৪ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে ৪লেন বিশিষ্ট এই ব্রীজ চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষীপুর,ভোলা,চট্রগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের লোকজন এই ব্রীজের সুফল পাবে।এসব অঞ্চলের মানুষ রাজধানী ঢাকার সাথে তাদের দুরত্ব কমে আসবে ৬০ কিলোমিটার।এই ব্রীজের কারনে চাঁদপুর অঞ্চলে শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে বলে আমরা আমরা আশাকরি।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিএনপি বিহীন নির্বাচন করব, এটা আমরা চাই না। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হবে। তবে কে এলো আর এলো না তার জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। যারা নির্বাচন চায় তারা কখনও এমন সংঘাতের পথ বেছে নিতে পারে না। নভেম্বরে নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দেবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা বিশ্বাস করি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে আবারও শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করবে।

বিএনপি হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে আসতে চায় না –পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

বকশীগঞ্জে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত