বরুড়া আলোকদিয়ার মেয়ে সাহারপদুয়া গ্রামের গৃহবধূ মুন্নি হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

মোঃ মহিবুল্লাহ্ ভূঁইয়া,কুমিল্লা(বরুড়া)প্রতিনিধি-
কুমিল্লার বরুড়ায় সাহারপুদুয়া এলাকার গৃহবধূ মুন্নি আক্তারের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১১ই মার্চ সকাল ১১টায় বরুড়া জিরো পয়েন্টে, এলাকাবাসীর অংশগ্রহনে প্রয়াত মুন্নি আক্তারের মা রোকসানা বেগম মানববন্ধনে বলেন গত ২০২১ সালে সাহারপুদুয়া এলাকার (মধুর বাপের বাড়ি)’র দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী ফয়সাল হোসেনের সাথে তার মেয়ে মুন্নি আক্তারের বিয়ে হয়, বর্তমানে মুন্নি আক্তারের দুই বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে ।
মুন্নি আক্তারের স্বামী ফয়সাল হোসেন প্রবাসে থাকায় তাঁর শ্বশুড়, শ্বাশুড়ী এবং ননদ সাংসারিক খুটিনাটি বিষয় নিয়ে খারাপ আচরণ করতো, যার কারণে মুন্নি আক্তার বেশির ভাগ সময় তার মেয়েকে নিয়ে তার বাবার বাড়ি শিলমুড়ী উঃ ইউনিয়নের আলোকদিয়ায় থাকতো।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারী রমজান উপলক্ষে মুন্নি আক্তারের প্রবাসী স্বামীর অনুরোধে সাহারপুদুয়ায় তার স্বামীর বাড়িতে আসে, কিন্তু স্বামীর বাড়িতে আসার পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারী ১১টায় লোক মারফতে মুন্নি আক্তারের মা রোকসানা বেগম জানতে পারেন তার মেয়ে মুন্নি আক্তার মৃত্যুবরন করছেন। এই খবর শুনে রোকসানা বেগম তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দ্রুত সাহারপুদুয়া এসে দেখেন মুন্নি আক্তারের গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় বাড়ির উঠানে শুইয়ে রাখা হয়।
এ সময় রোকসানা বেগম আরো বলেন মেয়ের শ্বশুড় বাড়ীর প্রতিবেশীদের সূত্রে জানতে পারেন রমজানের বাজার নিয়ে তার শ্বশুড় বাড়ীর লোকজনের কটাক্ষের শিকার হয়ে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়েছেন, কিন্তু সকল কিছু দেখার পর রোকসানা বেগম সহ তার পরিবারের সদস্যদের মনে হয়েছে তার মেয়ে কে হত্যা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কোটে একটি হত্যা মামলা করা হয়। উপস্থিত মানববন্ধনে এলাকার শতাধিক সাধারণ মানুষ দোষী ব্যাক্তিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি জানান, পরে বরুড়ার প্রধান সড়কগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শনী করে, উপজেলা প্রশাসন চত্বরে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয় এবং বরুড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার নূ- এমং মারমা মং এর হাতে মুন্নি হত্যার স্মারকলিপি তুলে দেন।
এ ব্যাপারে বরুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সঞ্জয় সরকার বলেন ইতিমধ্যেই একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।