শ্রীমঙ্গলে চোরাই মালামাল উদ্ধার ও গাড়ি জব্দসহ গ্রেফতার ২

আতাউর রহমান কাজল,শ্রীমঙ্গল-শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে চোরাই স্বর্ণালঙ্কার ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কারসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের একটি দল মৌলভীবাজার সদর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো- শ্রীমঙ্গল থানাধীন বৌলাশী গ্রামের গনি মিয়া ওরফে সুরত মিয়ার ছেলে মুজিবুর রহমান মুজিব এবং মৌলভীবাজার সদর থানাধীন বর্ষিজোড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে সাইদুর রহমান শাকিল।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, গত ১২ অক্টোবর রাতে শ্রীমঙ্গল থানার মির্জাপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত বৌলাশির গ্রামের দিপালী দাসের ঘরে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিরা প্রবেশ করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মালামার চুরি করে নিয়ে যায়। বাদীনির অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি চুরি মামলা রুজু করা হয়।
ওসি বলেন, আমরা আমাদের গোপন সোর্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সঙ্গলবার রাতে মৌলভীবাজার সদর থানা এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
অফিসর ইনচার্জ আরো জানান, মঙ্গলবার রাতে মৌলভীবাজার জেলার সদর থানাধীন কাজীরগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রথমে এই চুরির ঘটনায় জড়িত আসামি মুজিবুর রহমান মুজিবকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মুজিবের হেফাজত থেকে চুরি হওয়া একটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে মুজিবের দেওয়া তথ্য মতে এই চুরি ঘটনায় জড়িত অপর আসামি জনৈক আব্দুল আজিজ এর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। আজিজের বাড়িতে তল্লাশি করে একটি গ্রিল কাটার মেশিন এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। এরপর সদর থানাধীন বেরিরপার এলাকায় আজিজের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে চুরি হওয়া একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি ছাতা এবং বিভিন্ন ধরনের ৪ জোড়া ইমিটেশনের চুড়ি উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামি মুজিবের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মৌলভীবাজার সদরের শিমুলতলা বাজারের চোরাই স্বর্ণ ক্রয়কারী ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান শাকিল এর দোকানে অভিযান পরিচালনা করে দোকান মালিককে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়কে যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। চুরি হওয়া অন্যান্য মালামাল উদ্ধার এবং পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।