চকরিয়ায় খুচরা বিক্রেতার দোকানে বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ

চকরিয়া (কক্সবাজার)প্রতিনিধি-কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নে খুচরা বিক্রেতার দোকানে বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সার কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। অভিযোগ পাওয়া গেছে, উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের হামিদুল্লাহ সিকদার পাড়া এলাকায় কৃষি বিভাগ কর্তৃক নিয়োগ দেওয়া খুচরা সার বিক্রেতা মোহাম্মদ আলমগীর সার বিক্রির তার লাইসেন্সটি সম্প্রতি সময়ে স্থানীয় একজনকে উপভাড়া দিয়েছেন। এ সুযোগে ইউরিয়াসহ বিভিন্ন সার বিক্রিতে ভাড়াটিয়া সার বিক্রেতা সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে তাঁর ইচ্ছেমতো দাম বেশি নিচ্ছেন কৃষকদের কাছ থেকে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বিগত সরকারের আমলে মাঠ পর্যায়ে প্রান্তিক চাষীদের সুবিধার্থে প্রতি ইউনিয়নের ওয়ার্ড ভিত্তিক একজন করে খুচরা সার ডিলার নিয়োগ দিলেও কৈয়ারবিল ইউনিয়নের সার ডিলার মোহাম্মদ আলমগীর সুকৌশলে তার লাইসেন্সটি স্থানীয় অপর ব্যবসায়ীকে দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে লাইসেন্স ভাড়াটিয়া দরিদ্র চাষীদেরকে অনেকটা জিন্মি করে সার বিক্রিতে অতিরিক্ত দাম হাতিয়ে নিচ্ছেন।
স্থানীয় কৃষকেরা অভিযোগ করেছেন, ভাড়াটিয়া সার ডিলার আরশাদ উদ্দিন সরকারি বিধিবিধান উপেক্ষা করে ইচ্ছে মত মূল্য আদায় করছেন। অনেকসময় কৃষকদের চাহিতা মতো সারও দিচ্ছে না তিনি।
জানতে চাইলে মূল খুচরা বিক্রেতা মোহাম্মদ আলমগীর মোবাইল ফোনে দাবী করেন, আমি কাউকে লাইসেন্স ভাড়া দিইনি। নিজেই সারের দোকান পরিচালনা করছেন। তবে তাঁকে দোকানে পাওয়া যায়নি। তিনি অবশ্য দোকানের কর্মচারী দিয়ে সার বিক্রির কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
অপরদিকে ভাড়াটিয়া দোকানী আরশাদ উদ্দিন সুমনের কাছে সারের দোকানটি কার জানতে চাইলে তিনি বলেন, দোকানটি তার, তবে সার ডিলার অন্যজন বলে স্বীকার করে বলেন, আমি মালিকের পক্ষ হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছি।
এলাকাবাসি জানিয়েছেন, প্রকৃত ব্যবসায়ীকে সার ডিলারের লাইসেন্স প্রদান করা হয়নি। দলীয় প্রভাবে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের বাদ দিয়ে সার ডিলার নিয়োগ দেওয়ায় এধরণের জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
এব্যাপারে অবগত করা হলে চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম নাছিম হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এখন যেহেতু জানতে পারলাম, অবশ্যই এব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।