# Tags

চকরিয়ায় সমন্বয়ক ও যুবলীগ নেতাসহ ৩০জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের মামলা

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি-কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক সমন্বয়ক ও সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ও পৌরসভা যুবলীগের যুগ্ন-সম্পাদক বেলাল উদ্দীন শান্ত,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শেখ সালাহউদ্দিন সহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মৎস প্রকল্প লুটপাট করার অভিযোগে নুরুন নবী নামের মৎস্য চাষি ১৫মে রাতে মামলাটি চকরিয়া থানায় দায়ের করেন।

আসামীরা হল,সমন্বয়ক পরিচয়দানকারী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবুল হাসনাত সোহাগ,চকরিয়া উপজেলা সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান বেলাল উুদ্দন শান্ত,সাবেক পৌরসভা ছাত্রলীগ নেতা শেখ সালাউদ্দিনসহ ১০জন এজাহার নামীয় আরো ২০জন অজ্ঞাত আসামী করা হয়।

এজাহার সুত্রে জানা যায়,গত ১২মে রাতে আস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মৎস প্রকল্পে প্রবেশ করে বাদী ও তাহার কর্মচারীদের মারধর করে লুটপাট চালায়। এ সময় মৎস প্রকল্পের কর্মচারীদের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে চলে যাওয়ার সময় মৎস প্রকল্প থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ৮০ মণ মাছ (৯ লাখ) মুল্যে টাকা,লুটপাট করে। মৎস প্রকল্পে থাকা টানা জাল, বিহীন্গী জাল ৪ টি যার দাম ছয় লক্ষ বিশ হাজার টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়।
মৎস প্রকল্পের চাষী ও মামলার বাদী নুরুন নবী বলেন,আমি ও অপরাপর ১২০ জন শেয়ারদার ২০৩০ সাল পর্যন্ত চুক্তিপত্র মূলে লাগিয়ত গ্রহণ করি। ১২মে রাতে আসামীগণ আমাদের মৎস প্রকল্পে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে কর্মচারীদের মারধর ও ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে,অস্ত্র মুখে মাছ,জাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।

চকরিয়া উপজেলার সদরঘোনা এলাকায় ৪৫একর বন্ধ জলমহাল দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের নেতৃত্বে মাছ চাষ করে আসছে। ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তন হওয়ায় পর পালিয়ে যায় জাফর আলম।

এ বিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো শফিকুল ইসলাম বলেন,আবুল হাসনাত সোহাগ নামের সমন্বয়ক পরিচয়দানকারী,বেলাল উদ্দিন শান্ত ও শেখ সালাহউদ্দিন সহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন মৎসচাষী নুরুন নবী।