# Tags

রিলিফ নয়-ভাঙ্গনরোধে এলাকাবাসী চায় স্থায়ী বাঁধ

দৌলতপর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: প্রতিবছর নদী ভাঙ্গনের কারণে পদ্মা নদীটি বর্তমানে লোকালয়ে এসে দাঁড়িয়েছে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের মাজদিয়াড়, কোলদিয়াড়, হাটখোলাপাড়া ও ভুরকাপাড়া এই চারটি গ্রামে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পদ্মা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় ৩০ বিঘা ফসলি জমি। লোকালয় থেকে মাত্র ৩-৪ শ মিটার দুরে পদ্মানদী যেখানে গ্রাস করছে ফসলি জমি। জিও ব্যাগ ফেলে থামানো যাচ্ছেনা নদী ভাঙ্গন, এলাকাবাসীর দাবি স্থায়ি সমাধানের, এদিকে দৌলতপুর আসনের এমপি এ্যডভোকেট আ.কা.ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ বলেন অচিরেই স্থায়ী ব্যাবস্থা হবে।
এলাকাবাসি বলেন, এভাবে নদী ভাংতে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে লোকালয়ে প্রবেশ করবে। তাতে সরকারী বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান সহ মসজিদ, মাদ্রাসা ,বসতবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এখন পদ্মাপাড়ের মানুষ চরম আতংকে বসবাস করছে। কয়েক বছর আগে নদী ছিলো লোকালয় থেকে প্রায় ৩-৪ কিঃমিঃ দুরে। কিন্তু বর্তমানে লোকালয় থেকে মাত্র ৩-৪ শ মিটার দুরে পদ্মানদী। নদী ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় সংসদ সদস্য সরওয়ার জাহান বাদশাহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সরকারি বরাদ্দ এনে গত বছর থেকে জিও ব্যাগ ফেলছেন, সেটা তেমন কোনো কাজে আসছেনা। বরং অপরিকল্পিতভাবে জিও ব্যাগ ফেলার কারণে সেগুলোও নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সবই তিন ফসলি জমি যা থেকে সারা বছর পদ্মাপাড়ের কৃষকদের জিবীকা নির্বাহ হতো।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া ১, দৌলতপুর আসণের সংসদ সদস্য এ্যডভোকেট আ.কা.ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ বলেন, আপাতত আমরা জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলে নদী ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা করছি গত বছর থেকে। এখনোও কাজ চলমান আছে। স্থায়ী বাধ নির্মানে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দিয়েছি, এবং অচিরেই একটি স্থায়ি বাধের ব্যাবস্থা হবে বলে জানান তিনি।
সরকারের কাছে কোন রিলিফ চাইনা, চাই শুধু স্থায়ীভাবে বাঁধনির্মান দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ।