পঞ্চগড় প্রতিনিধি-মৃদু শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও উত্তরের হাড় কাঁপানো কনকনে শীতল বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের মানুষ। বোরবারের মত গতকাল সোমবারও বইছে শীতল বাতাস। ঘন কুয়াশা ও আকাশের মেঘ সরে গিয়ে রোববার দুপুরের মধ্যে সূর্যের দেখা মিললেও গতকাল সোমবার সূর্য উঁকি দেয় বিকেলে। তবে আকাশে মেঘ থাকায় সূর্যের তাপ গায়ে লাগেনি। মৌসূমের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শীত অনুভ‚ত হলেও গতকাল সোমবার সকাল ৯ টায় দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। মেঘলা আকাশে সূর্যের প্রখরতা না থাকায় গত রোববার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নিচে নামায় বেশি শীত অনুভ‚ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
মাঝখানে কয়েকদিন বিরতি দিয়ে আবারও শীত জেঁকে বসায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। জীবিকার তাগিদে কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে তাদের কাজে বের হতে হয়েছে। গতকাল সকালে দেখা গেছে জেলা শহরের করতোয়া নদীতে হিমশীতল পানিতে নেমে পাথর উত্তোলনের কাজ শুরু করেছে শ্রমিকরা। শীতবস্ত্রের অভাবে গ্রামাঞ্চলের দিনে রাতে খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বেলে শীত নিবারনের চেষ্টা করতে দেখা গেছে শীতার্ত মানুষগুলোকে। নির্বাচনী ডামাডোলের কারণে এবার সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে শীতবস্ত্র বিতরণ হচ্ছে অনেক কম। শীত বাড়ার সাথে সাথে ভোগান্তি বাড়বে পঞ্চগড়ের শীতার্ত মানুষগুলোর।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মো. রোকনুজ্জামান বলেন, উত্তর দিক থেকে শীতল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় গত দুইদিন ধরে পঞ্চগড়ে তীব্র শীত অনুভ‚ত হচ্ছে। হিমালয়ের খুব কাছে অবস্থান হওয়ায় এখানে শীতের তীব্রতা একটু বেশি। সোমবার সকালে এখানে দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এখন থেকে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে তিনি জানান।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে। প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেক কম। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রকৃত গরিব ও অসহায় মানুষদের মাঝে এ সকল শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে বেসরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগেও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।