কর্মদক্ষতা ও সেবায় ভালুকাবাসীর মন জয় করে নিচ্ছেন ইউএনও

মোঃ আক্কাছ আলী,ভালুকা(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি-একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার মূল দায়িত্ব শুধু নীতিমালা বাস্তবায়ন নয়, বরং জনগণের পাশে থেকে প্রশাসনকে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলা। এই চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে কাজ করে চলেছেন বর্তমানের এক ব্যতিক্রমধর্মী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। কর্মদক্ষতা, জনসেবা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতোমধ্যে তিনি জনগণের ভালোবাসা ও প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
জনসেবায় তার আগ্রহ ও আন্তরিকতা প্রতিটি কাজে স্পষ্ট। দুর্নীতি বিরোধী অবস্থান, প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা এবং জনসাধারণের সমস্যা সমাধানে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ—এসবই তাকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। সরেজমিনে উপস্থিত থেকে সেবা নিশ্চিত করা, সামাজিক সমস্যা সমাধানে কঠোর মনোভাব এবং মানবিক সাহায্যে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে বিভিন্ন মহলে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন।
সম্প্রতি একাধিক সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পে তার নেতৃত্বে দ্রুত অগ্রগতি দেখা গেছে। বিশেষ করে শিক্ষার মান উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানো, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ এবং অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযানে তার প্রশাসনিক দৃঢ়তা এবং জনগণের সাথে সরাসরি সংযোগ নজর কেড়েছে সবার।
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনসেবামূলক কাজে আগ্রহ তৈরি করতে ইউএনও হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সক্রিয়। তার কর্মকাণ্ড, জনসচেতনতা মূলক বার্তা এবং ক্ষেত্রভিত্তিক প্রতিবেদনগুলো ফেসবুকে ভাইরাল হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, “আগে কখনও প্রশাসনের কোনো বড় কর্মকর্তাকে এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখিনি। তিনি আমাদের আশা ও ভরসার নাম।”
একজন প্রকৃত জনদরদী কর্মকর্তা কীভাবে জনগণের মন জয় করতে পারেন, তার বাস্তব উদাহরণ হয়ে উঠেছেন ইউএনও হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। তাঁর এই নিষ্ঠা ও মানবিকতার পথচলা দেশের প্রশাসনিক অঙ্গনের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
এ প্রসঙ্গে ইউএনও হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন,”আমি সব সময় চেষ্টা করি জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতে। তাদের সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে পারাটাই একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার সাফল্য। আমি বিশ্বাস করি, প্রশাসনের প্রকৃত সাফল্য তখনই আসে যখন জনগণ সন্তুষ্ট থাকে। সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারলেই নিজেকে সার্থক মনে হয়।”