# Tags

গৌরনদীর ফলের আরৎ আর দোকান কার্বাইড ফলে সয়লাব

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি-মৌসুমী ফলে ভরে ওঠেছে গৌরনদী উপজেলার সকল বাজার। পাকা আম,লিচু ও কালো জাম সহ বিভিন্ন জাতের ফল এখন শোভা পাচ্ছে ফলের দোকান গুলোতে।

ভ্যান গাড়ি ও মাথায় করে ভ্রাম্যমান ক্রেতারা মৌসুমী ফল বাড়ি বাড়ি নিয়েও বিক্রি করছেন। কিন্তু বাজারভর্তি মৌসুমী ফল থাকলেও ক্রেতাদের মধ্যে বিরাজ করছে কার্বাইড আতঙ্ক। এসব ফল খেয়ে অনেকে অসুস্থ হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।

গত বছর ফল মৌসুমে ফরমালিন বিরোধী অভিযান পরিচালনা করার ফলে ফরমালিন মেশানোর হার কিছুটা কমলেও এ বছর অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যাচ্ছে না।তাই বাজার ছেয়েগেছে কার্বাইড যুক্ত ফলে।প্রতিবছর এ মৌসুমে প্রশাসনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হলেও এবার রহস্যজনক কারণে তা বন্ধ রয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা জায় প্রশাসনের নাকের ডগার উপর উপজেলার টরকী,গৌরনদী ,বাটাজোর,আশোকাঠি, বাজার সহ উপজেলার বেশ কিছু পাইকারি ফল বিক্রেতারা কাচা আম,লিচু,ও কলায় প্রকাশ্য দিবালোকে কার্বাইড,ও অন্যান্য রাসায়নিকের দ্রব্য ব্যাবহার করে।যা দেখার কেউ নাই।খুচরা বিক্রেতারা জানান,ফল ক্রেতারা ফল ক্রয়ের সময় জিঙ্গেস করেন ফলে ফরমালিন আছে কিনা আমরা বলি নাই কারন আমরা পাইকারী দোকান থেকে কিনে বিক্রি করি।তবে এ কথায় আশ্বস্থ হতে পারছেন না ক্রেতারা। তারা একদিকে যেমন ফল কিনছেন, অন্যদিকে এতে রাসায়নিক আছে কি না তা নিয়ে উৎকণ্ঠিত। উদ্বেগের বিষয়,আবার ভেজালবিরোধী অভিযান না থাকায় ফলসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে রাসায়নিক মেশানো আছে কি না তা পরীক্ষা করা হচ্ছে না।টরকী বাজারে আম কিনতে এসে রুহুল আমিন বলেন আমগুলি যেভাবে পাকিয়ে হলুদ করা হয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে আমগুলো ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো হয়েছে।কিন্তু কি করবো বাড়িতে মেহমান এসেছে আম দরকার। কিন্তু পরীক্ষার সুযোগ না থাকায় তিনি চোখ বুঝে আম কিনে নিয়েছেন। বাজারে নিয়মিত অভিযান থাকলে ফরমালিন বা রাসায়নিক পদার্থযুক্ত মৌসুমী ফল বিক্রি সম্ভব হতো না বলে দাবি করেন তিনি।এদিকে,টরকী থেকে আম কিনে নিয়েছিলেন রাজাপুরের হানিফ বেপারী।টকটকে হলুদ আম দেখে তিনি কিনে নিয়েছিলেন। আম খাওয়ার পর তার দুই শিশু সন্তানের পেটের পীড়া দেখা দেয়। পরে তিনি বুঝতে পারেন আমগুলোকে ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো হয়েছে।এ ব্যাপারে গৌরনদী উপজেলা সরকারী হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন এ সমস্ত রাসায়নিক মেশানো ফল খেলে মানুষের হার্ট,কিডনি ও পাকস্থলি আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যায় এবং মারাও যেতে পারে।নজর দারী সর্ম্পকে গৌরনদীর ইউএনও রিফাত আরা মৌরি বলেন আমরা অতিদ্রুত এর ব্যাবস্থা নিচ্ছি ।