দিনাজপুরে সাংবাদিক ইউনিয়নে নেতৃত্বের অনিয়ম ও বিতর্কিত বহিষ্কার প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ

আব্দুস সালাম, দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥ সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুর (২৯৩৬)-এর বর্তমান সভাপতি জি এম মঈনউদ্দিন হিরু এবং সাধারণ সম্পাদক মাহফিজুল ইসলাম রিপনের বিরুদ্ধে সংগঠনের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিকরা বলছেন, তাদের কার্যক্রম গিরগিটির মতো রং বদলানোর মতো আচরণকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।
অভিযোগ উঠেছে, সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক একাধিক বিতর্কিত সদস্য অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যাদের মধ্যে আছেন স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের দোসর সাংবাদিক, মাদক মামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি এবং এমন ব্যক্তিরা যারা সংবাদ সংক্রান্ত ন্যূনতম দক্ষতাও রাখেন না। অভিযোগ মতে, এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করছেন।
সর্বশেষ বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এম এ সালাম। তিনি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের একের পর এক অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। এর জেরে, গত ১৭ জুন ফেসবুকে প্রকাশিত একটি বহিষ্কার নোটিশের মাধ্যমে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কার নোটিশে আনীত অভিযোগের কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য বা প্রমাণ উল্লেখ ছিল না। বিষয়টি নিয়ে এম এ সালাম বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের কোনো ভিত্তি তারা দেখাতে পারেননি। সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুসারে প্রয়োজনীয় তদন্ত ছাড়াই আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক।
সাংবাদিকরা অভিযোগ করেছেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়মিত গোপন বৈঠক করে একক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। নির্বাহী কমিটির সদস্যদের এতে অংশগ্রহণ কিংবা জানানো হচ্ছে না। তারা কেউ-ই এ বিষয়ে জানেন না।
এম এ সালামের বহিষ্কারের বিষয়ে সাংবাদিকরা বলেন, এটি কোনো পেশাদার সিদ্ধান্ত নয়। অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে বহিষ্কার করা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এমন স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত সংগঠনের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুরের (২৯৩৬) এর বর্তমান নেতৃত্ব নিয়ে এর আগেও স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে অনিয়মের ও স্বেচ্ছাচারিতার খবর প্রকাশিত হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করে অনেকেই বলেন, বর্তমান নেতৃত্বের আচরণ সংগঠনের মৌলিক নীতির পরিপন্থি। সাংবাদিকদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি করেছে।
বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সভাপতি জি এম মঈনউদ্দিন হিরু এবং সাধারণ সম্পাদক মাহফিজুল ইসলাম রিপনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এম এ সালাম জানিয়েছেন, আমি এই ইউনিয়নের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) কাউন্সিলর, সেন্ট্রাল সদস্য, সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুর জন্মলগ্ন থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম নিজের অর্থ ব্যায় মামলা হামলার ঝুঁকি নিয়ে সবাইকে সাথে নিয়ে ইউনিয়নকে প্রতিষ্ঠিত করেছি, সাংবাদিক হিসেবে সত্যের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাব। কোনো অন্যায়ের কাছে মাথানত করব না।