ভোলায় বালি খোলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

বিশেষ প্রতিনিধি-ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে সাজি কান্দি বালির খোলার মালিক মোঃ হাসান এর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হামলা অভিযোগ।
তথ্যসূত্রে ভুক্তভোগী মোঃ হাসান গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানান বিগত দিন থেকেই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ৬ নং ওয়ার্ডের বারেক মেম্বার একাধিকবার বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছেন।এর ওই ধারাবাহিক গত বুধবার আমার ম্যানেজারের সাথে বালি বিক্রয়ের টাকা নিয়ে বারেক মেম্বারের ছেলের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আমার ম্যানেজারকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে, আমি বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কে জানালে বারেক মেম্বার আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ৯ টা ৩০ মিনিটের সময় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বালি বিক্রয়ের স্থানে বহিরাগত মাস্তান সহ তার নেতৃত্বে আমার ম্যানেজার ও ছেলেদেরকে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
আমি বিষয়টি জানতে চাইলে আমার উপর চওড়া হয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়, ঘটনা স্থলে গণমাধ্যম কর্মী আসলে তাদের সামনেও বারেক মেম্বার নিজে তার ছেলেরা সহ যাওয়ার সময় আমাকে বলে যা পারলে যা ইচ্ছে তা করিস আমি দেখে নেব। ভুক্তভোগী হাছান সঠিক তদন্ত এর মাধ্যমে আইনের সহযোগিতা কামনা করেন, এবং সুস্থ ফয়সালা দাবি জানাচ্ছেন।
মারধরের বিষয় স্থানীয়,মোঃ হাকিম ২/ সাকিব ৩/ আক্তার সংবাদ কর্মীদেরকে জানান আমাদের সামনেই মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে, এবং তার ছেলে বলেছে প্রয়োজন হলে দুই রাউন্ড গুলি করে দেব। আমরা ভিডিও ধারণ করার জন্য মোবাইল হাতে নিলে মোবাইল কেড়ে নিয়ে যান আমরাই সুস্থ একটি ফয়সালার দাবি জানাচ্ছি।
মারধরের বিষয় অভিযুক্ত বারেক মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে বলেন ৪০০ টাকা কে কেন্দ্র করে আমার ছেলেকে সিসিটিভির সামনে মারধর এর জন্য এগিয়ে আসেন স্থানীয় লোকজন ছাড়িয়ে দিলে যখন আমি বিষয়টি জানতে পারি তখন হাসানকে বিষয়টি জানানোর জন্য স্থানীয় লোক লোকজনের সামনে প্রায় দুই ঘণ্টা হাসানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি বিষয়টি যেন সামনের দিকে না আগায়, প্রায় দুই ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরে আমি বাসায় চলে আসি এরপর হাসান আমাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানেন আমি বললাম বসে ফায়সালা করে দেব।আসলে চাঁদা দাবি এবং মারধরের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, আমার ছোট ছেলে হয়তো বা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বালি খোলার সামনে হাসানের ছেলেপেলেরা খারাপ ব্যবহার করেছে আমি যতটুকু শুনেছি এ বিষয় নিয়ে দু গ্রুপের ভিতর কথাকাটাকাটি হয় আসলে কোন প্রকার মারধর এর র্ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন আমাকে স্থানীয় লোকজন।
মারধরের বিষয় ভোলা ইলিশা পুলিশ তন্ত্র কেন্দ্রের ইনচার্জ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান মারধরের বিষয় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।