মুখথুবড়ে পড়ে আছে তালায় অবৈধ স্থাপনা ও সরকারি সম্পত্তি উচ্ছেদ : নিরব দর্শকের ভূমিকায় প্রশাসন

শফিকুল ইসলাম, তালা (সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি : মুখথুবড়ে পড়ে আছে তালায় অবৈধ স্থাপনা ও সরকারি সম্পত্তি উচ্ছেদের কাজে নিরব দর্শকের ভূমিকায় প্রশাসন। একদিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ মাসুদুর রহমান গত ১৩ এপ্রিল রবিবার সকালে রাস্তার শ্রেণি সরকারি জায়গা অবমুক্ত করার নির্দশনা চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছিলেন।
অপর দিকে তালা উপজেলা নাগরিক কমিটিও একটি আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছিল তালা উপজেলা প্রশাসনসহ জেলা প্রশাসন। যে সরকারি সম্পত্তি পরিত্যাগ নোটিশ জারি করা হয়েছিল ১৫ দিনের সময় দিয়ে গত ১২ মে সোমবার ৩১.৪৪.৮৭০০.০০৬.০৭.০১৮.২৫-৫৭৮ নং স্মারকে জেলা প্রশাসকের পক্ষে রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মোঃ পলাশ আহমেদ স্বাক্ষরিত এই নোটিশ জারি করা হয়। এই নোটিশ জারির পর থেকে তালার গুটি কয়েক স্বার্থনেষি ব্যাক্তি সরকার ও সরকারি কাজে বাঁধা সৃষ্টি করতে ব্যাক্তি মালিকানা জমি যার দাগ নং ২১২, ২১৩ দাগ উল্লেখ করে হাইকোর্টে একটি রিট করে। যে দাগের জমি আদেও সরকারি সম্পত্তি নয় এই সকল ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছিল, মোঃ আব্দুল জলিল ও আব্দুস সাত্তার, উভয় পিতা মৃত্যু আনোয়ার হোসেন, সাং তালা সদর, তালা সাতক্ষীরা। তালা উপজেলাধীন তালা মৌজার এস এ – ১নং খাস খতিয়ানের ২১৮ দাগের ০.০৫ একর রাস্তা শ্রেণির জমিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে বহুতল ভবন ( বসত বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান) নির্মান করেছেন। যা ; বাংলাদেশ সরকার ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভূমি ও ইমারত ( দখল পুনরুদ্ধার ) অধ্যাদেশ ১৯৭০ এর বিধি লঙ্ঘন। তাই এই নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে অবৈধ দখল পরিত্যাগ এবং আপনার নির্মিত স্থাপনাসমুহ নিজ খরচে অপসারণ করার নির্দেশ দেন। নির্ধারিত দিনের মধ্যে যদি অপসারণ না হয় তাহলে বিধি অনুযায়ী আদেশের ৮ নং ধারা মোতাবেক অবৈধ স্থাপনা বাজেয়াপ্ত করা হবে।
কিন্তু বর্তমানে সেই প্রশাসন কেন নিরব ভূমিকায় তালাবাসী জানতে চায়।
তালার সুধী জনেরা জানান, আব্দুল জলিল একটা ঠক এবং প্রতারক। জেলা প্রশাসক নোটিশ জারির পর এই নোটিশের বিপরীতে জেলা প্রশাসকের নামে ২১৩,২১৫ ও ২৭৬ দাগ উল্লেখ করে সাতক্ষীরা নিম্ন আদালতে একটি স্থগিত আদেশ চান আব্দুল জলিল। কিন্তু নিম্ন আদালত সেই স্থগিত আদেশ প্রত্যাক্ষাণ করে চ্যালেঞ্চ করে। পরবর্তীতে জলিল একই আবেদনে ২১২, ২১৩ দাগ উল্লেখ করে হাইকোর্টে রিট করে একটি স্থগিত আদেশ নিয়ে আসে। যা আদেও সত্য না এঠা একটা মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রকৃত সরকারি দাগ ২১৮। আর যেটা দিয়ে জলিল প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে অবৈধ ভাবে টিকে থাকতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি এম এ হাকিম জানান, আমরা আবেদন করেছিলাম। যার ফলে অবৈধ স্থাপনা অপসারনের জন্য গত ১২ মে ১৫ দিনের সময় দিয়ে নোটিশ জারি করেছিল। কিন্তু সেই নোটিশের কোন কার্যকারিতা হয়নি। তবে যেটা শুনেছি জলিল তার ব্যক্তি মালিকানা জমির দাগ খতিয়ান উল্লেখ করে হাইকোর্টের থেকে একটা স্থগিত আদেশ নিয়ে এসেছে। কিন্তু যে দাগের জন্য নোটিশ জারি হয়েছে সে দাগ হলো ২১৮। সে যেটা স্থগিত আদেশ এনেছে এটা হাইকোর্ট কে ভুল তথ্য দিয়ে একটা মিথ্যা আদেশ এনেছে।
সহকরী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাসুদুর রহমান জানান, জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে আমার কাছে একটা প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছিল আসলে ২১৮ দাগ সরকারি সম্পত্তি কিনা। আমি শুধু মাত্র তার প্রতিবেদন দিয়েছি। এর পরবর্তী কার্যক্রম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পরিচালিত হচ্ছে।
সাতক্ষীরা ডেপুটি কালেক্টর (রেভিনিউ) মোঃ পলাশ আহমেদের কাছে ফোন দিলে জানান, কেচটা কি অবস্থায় আছে না দেখে আমি এই মুহুর্তে বলতে পাববনা। পরের দিন ফোন দিলে তিনি বলেন আমি তো সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় চলে আসছি।