# Tags

সেরা ওসির পুরস্কারের কয়েকদিন পর ক্লোজ: হতবাক স্থানীয়রা

আব্দুস সালাম, দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥ দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মতিউর রহমানকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে ক্লোজ করার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে বিস্ময় দেখা দিয়েছে। ২৬ মে সোমবার তিনি জেলার সেরা ওসির পুরস্কার পেয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ এবং হঠাৎ এই পদক্ষেপ নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র মতে, ওসি মতিউর রহমান সম্প্রতি একজন জুলাই যোদ্ধাকে বিয়ে করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই নারী পূর্বে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যা তার ক্লোজের পেছনের কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্তে নিশ্চিত হওয়া দরকার।
ওসি মতিউর রহমান ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় যোগ দেন। তার দায়িত্ব গ্রহণের পর স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে। এক সময় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া পুলিশ বাহিনীকে তিনি পুনর্গঠন করেন এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনেন।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ের চিহ্নিত ডেভিলদের গ্রেফতারে তার ভূমিকা প্রশংসিত হয়। এ পর্যন্ত অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় প্রায় সাড়ে ৪০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি, মাদকবিরোধী অভিযানেও তিনি সফল হন। তার সময়কালে মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সহস্রাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ জুলাই যোদ্ধা হুমায়রা বিনতে কবির সুরভিকে বিয়ে করেন ওসি মতিউর রহমান। জানা গেছে, ওই নারী ছাত্রলীগের কিছু সদস্যের ব্ল্যাকমেইলের শিকার হচ্ছিলেন। তাকে রক্ষা করতেই ওসি মতিউর এই সিদ্ধান্ত নেন। এই বিয়ে আইনানুগভাবে সম্পন্ন হয় এবং দুই পক্ষের কেউই কোনো অভিযোগ করেনি।
তবে, এই বিয়েকে কেন্দ্র করে কিছু মহল অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ে একটি গোপনীয় তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওসি মতিউরের দায়িত্বকালে তার জনকল্যাণমূলক কাজ তাকে স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয় করে তোলে। হঠাৎ করে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছে। অভিযোগের সত্যতা নিরূপণে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।
এই ঘটনার পুরো প্রক্রিয়া এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।