দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই : খাদ্য উপদেষ্টা

আব্দুর রউফ ভুইয়া, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, সরকারের কাছে যথেষ্ট খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে তাই কোনো ধরনের শঙ্কা নেই। গত বন্যায় আমন ধানের যে ক্ষতি হয়েছে, সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার খাদ্যশস্য আমদানি করছে। হাওরসহ সারাদেশে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।
তিনি বলেছেন, কৃষকরা যাতে ফসলের ন্যায্যমূল্য পান, তা নিশ্চিত করতে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
শনিবার (৫ মার্চ) দুপুরে কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামের ভাতশালা হাওরে জিরাতি কৃষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘কৃষক ও জিরাতিরা হলেন দেশ উন্নয়নের প্রথম সারির সৈনিক। তারা ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারা যে ফসল ফলান, তা দিয়ে আমাদের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য জোগান হয়।
সেচ সমস্যা, মাছ ধরার অজুহাতে অবৈধভাবে খালবিল শুকিয়ে ফেলার প্রবণতা, সারবীজের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, ফসল সংরক্ষণ ও এগুলোর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে বলে জানান খাদ্য উপদেষ্টা।
জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের সভাপতিত্বে ভাতশালা হাওর এলাকায় অনুষ্ঠিত কৃষক ও জিরাতিদের সাথে মতবিনিময়ে হাওরের খালবিল, নদনদী শুকিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুধু হাওর নয় মেঘনাসহ বড়বড় নদীগুলোও আজ নাব্যতা সঙ্কটে ভুগছে। হাওরের খালবিলগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। খাল খনন কর্মসূচির মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে খাল খনন করা সম্ভব। এছাড়া বড় নদনদীগুলো খনন করতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, হাওর এলাকায় এখন কৃষকরা কেবল ধান নয়, ধানের পাশাপাশি ভুট্টা, সবজি, হাঁসমুরগি পালন, মাছচাষসহ নানাবিধ অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত। কাজেই হাওর বিপুল সম্ভাবনাময় এক জনপদ। সরকার হাওরের যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপকভাবে কাজ করছে।
সভা শেষে খাদ্য উপদেষ্টা হাওরের বিভিন্ন বোরোক্ষেত ঘুরে দেখেন।